এ চঞ্চলবাসার,রানীনগর নওগাঁ :মানুষের মানবিক গুনাবলী যখন বিলুপ্ত হয়ে যায়, তখন আর সে মানুষ থাকে না।সে হয়ে ওঠে দানব। এই দানব হয়ে ওঠার পেছনে থাকে কুশিক্ষা, কুপরিবেশের প্রভাব। মানবজীবনের প্রথম পাঠশালা পরিবার। সেই পাঠশালার শিক্ষক-মা-বাবা, ভাই-বোন। তাছাড়া পরিবেশ তথা প্রতিবেশীর প্রভাবও মানবজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সুতরাং শিশু-কিশোর বয়সে সুশিক্ষা পেলে, সুপরিবেশ পেলে মানুষ মানবীয় গুণাবলীতে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তারপরেই আসে তারুণ্যের ছোঁয়া। এ সময়ের সঠিক নির্দেশনা তাকে সৎ পথে পরিচালিত হতে সাহায্য করে। আবার গাইডেন্সের অভাবে মানুষের মানবিক অবক্ষয়, চরিত্রের স্খলন, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যেবোধের বিপর্যয় ঘটে এই যৌবনেই। কাজেই জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টিতে অভিভাবকের গাইডেন্স খুবই প্রয়োজন। এসময় আর সেই অভিভাবক শুধু মা-বাবা নয়, তার সাথে শিক্ষক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ তথা প্রশাসন ব্যবস্থার হালচাল জড়িত থাকে।দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, বর্তমান সময়ে আমরা মানুষের মধ্যে দানবীয় কর্মকান্ডের আধিক্য দেখতে পাচ্ছি। খুন-খারাবিসহ নানা কুকীর্তি হরহামেশাই করে বেড়াচ্ছে মানুষ নামের কিছু কীট। আর তাদের নেপথ্যে শক্তিদাতারা হালে পানি যোগাচ্ছে। মানব সভ্যতার এ এক অশনি সংকেত।এই দানবীয় কুকর্ম রুখতে প্রয়োজন কঠোর অনুশাসন, সুশাসন এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছা। প্রয়োজন রাষ্ট্রেয় নীতিবোধ, সুনীতি। তাছাড়া প্রকৃত শিক্ষায় দীক্ষিত করতে শিক্ষালয় গুলোকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়-নীতি এবং আদর্শের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
Leave a Reply